প্রাচীন সভ্যতা
প্রাচীন সভ্যতা
মেসোপটেমীয় সভ্যতাঃ
০১. বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা কোথায় গড়ে উঠেছিল? [২৪তম বিসিএস]
উত্তরঃ মেসোপটেমিয়ায়।
০২. কোনটি প্রাচীন সভ্যতা? [৪৫তম বিসএস]
উত্তরঃ মেসোপটেমিয়া।
ব্যাখ্যাঃ
>বিশ্ব সভ্যতার যাত্রা শুরু হয় আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে।
>পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলো হলো- মেসোপটেমিয়া,
মিশরীয়, চৈনিক, সিন্ধু, ফিনিশীয়, পারস্য, হিব্রু, গ্রিক, রোমান, মায়া, নারা ও ইনকা।
>প্রাচীন সভ্যতাসমূহের মধ্যে প্রাচীনতম মেসোপটেমিয়া।
০৩. “মেসোপটেমিয়া' এলাকার বেশির ভাগ বর্তমানে কোন দেশে? [১৮তম বিসিএস]
উত্তরঃ ইরাক
০৪. মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল কোথায়? [৩৯তম বিসিএস]
উত্তরঃ টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে।
ব্যাখ্যাঃ
>পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার নাম মেসোপটেমিয়া সভ্যতা যা মেসোপটেমিয়া বর্তমান বা আধুনিক ইরাক রাষ্ট্রের সীমারেখার মধ্যেই অন্তর্গত।
>গ্রিক 'মেসোপটেমিয়া" শব্দের অর্থ দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি/অঞ্চল।
>মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে ওঠে পূর্বে টাইগ্রিস (দজলা) এবং পশ্চিমে ইউফ্রেটিস (ফোরাত) নদীর উর্বর তীরাঞ্চলে।
০৫. সুমেরীয় সভ্যতা কোথায় গড়ে উঠেছিল? [প্রাক-প্রাথমিক স. শি. নি. প.- ২০১৩ (শীতলক্ষণা), প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (কংস) : ০৮]
উত্তরঃ মেসোপটেমিয়ায়।
ব্যাখ্যাঃ
>বর্তমান বা আধুনিক ইরাক রাষ্ট্রের সীমারেখায় গড়ে ওঠা মেসোপটেমীয় সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি সভ্যতা। যথাঃ সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, অ্যাসেরীয় সভ্যতা এবং ক্যালডীয় সভ্যতা।
সুমেরীয় সভ্যতাঃ
>মেসোপটেমিয়ায় পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ও প্রধান সভ্যতা গড়ে তুলেছিল — সুমেরীয়গণ।
>সুমেরীয়দের আদিবাস ছিল — এলামের পাহাড়ি অঞ্চলে।
>তাদের তৈরি নগর দেবতার মন্দিরগুলিকে জিগুরাট বা স্বর্গের পাহাড় বলা হতো।
সুমেরীয়দের সবচেয়ে বড় অবদান — চাকা আবিষ্কার। (সর্বপ্রথম গাড়ি ও রথে চাকা ব্যবহার করে)।
>এছাড়াও তারা বর্গমূল ও ঘনমূল এর গাণিতিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
>চন্দ্রপঞ্জিকার আবিষ্কার ছাড়াও সর্বপ্রথম লিখন পদ্ধতি (চিত্রলিপি ও কিউনিফর্ম লিপি) সুমেরীয়দেরই আবিষ্কার ।
>কিউনিফর্ম হলো অক্ষরভিত্তিক বর্ণলিপি (৩২টি)। >কিউনিফর্ম লিপিতে সুমেরীয়দের দ্বারা লেখা হয় বিখ্যাত মহাকাব্য — গিলগামেশ।
০৬. ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান কে গড়ে তুলেছিলেন? [প্রাক-প্রাথমিক স. শি. নি. প.- ২০১৩ (সুরমা) প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (ধানসিড়ি):৮]
উত্তরঃ নেবুচাদনেজার।
০৭. “ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান' কোন দেশে অবস্থিত? [১১তম বিসিএস]
উত্তরঃ ইরাক।
ব্যাখ্যাঃ
ব্যাবিলন শহরকে কেন্দ্র করে ব্যাবিলনীয় সভ্যতার পর গড়ে ওঠে ক্যালডীয় সভ্যতা।
ব্যাবিলনীয় সভ্যতাঃ
>ব্যাবিলনীয় সভ্যতা আনুমানিক ২০৫০ খ্রস্টপূর্বাব্দে মেসোপটেমীয় অঞ্চলে গড়ে ওঠে।
>অ্যামোরাইট নেতা হাম্বুরাবি এই সভ্যতার স্থপতি ছিলেন।
>তিনি ছিলেন পৃথিবীর ১ম লিখিত আইন সংকলন হাম্মুরাবি কোড এর প্রণেতা ।
>হাম্মুরাবি কোড হলো মোট ২৮২টি আইনের সংকলন যা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন লিখিত আইন সংকলন হিসেবে পরিচিত।
ক্যালডীয় সভ্যতাঃ
ব্যাবিলন শহরকে কেন্দ্র করে ক্যালডীয় সভ্যতা গড়ে ওঠে, যা ইতিহাসে নতুন ব্যাবিলনীয় সভ্যতা নামে পরিচিত।
>নেবুচাদনেজার এই সভ্যতার সূচনা করেন।
>স্ত্রীর ইচ্ছা বাস্তবায়ন করার জন্য সম্রাট নেবুচাদনেজার “ব্যাবিলনের শুন্য উদ্যান" তৈরি করেন যা প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের একটি নিদর্শন।
>বর্তমান ইরাকে এই সভ্যতা গড়ে উঠেছিল।
>ক্যালডীয়রা সপ্তাহকে ৭ দিনে বিভক্ত করে এবং দিনকে ১২ জোড়া ঘন্টায় ভাগ করে।
০৮. পৃথিবীর প্রাচীন মাত্রচিত্র পাওয়া যায়- [প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (খুলনা বিভাগ) : ০৫]
উত্তরঃ ব্যাবিলনের উত্তরে গাথুর শহরের ধবংসাবশেষে
ব্যাখ্যাঃ
>পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্র পাওয়া যায় — ব্যাবিলনের উত্তরের গাথুর শহরের ধ্বংসাবশেষে।
>এটি ছিল ভ্রমণকারীদের পথ নির্দেশ করার জন্য সহজ-সরল প্রকারের মানচিত্র।
>ব্যাবিলনীয়দের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত ভাষা আক্কাদীয়ান ভাষা।
>বর্তমানে এই নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত আছে প্যারিসের ল্যুভর জাদুঘরে ।
আ্যাসেরীয় সভ্যতাঃ
>ইতিহাসে আযাসেরীয়রা পরিচিত সামরিক রাষ্ট্র হিসেবে।
>তারাই প্রথমে লোহার অস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী গঠন করে এবং যুদ্ধরথের ব্যবহার করে।
>আসেরীয়রা বৃত্তকে ৩৬০°তে ভাগ করে।
>পৃথিবীকে তারা সর্বপ্রথম অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ অনুযায়ী ভাগ করেছিলো।
গ্রিক সভ্যতাঃ
০৯. গণতন্ত্রের ধারণা উৎসারিত হয় প্রথম কোন দেশে? [৪৪তম বিসিএস]
উত্তরঃ প্রাচীন গ্রীস
ব্যাখ্যাঃ
>ঘিক সভ্যতা মূলত স্পার্টা ও এথেন্সকেন্দ্রিক।
>এই নগররাষ্ট্র দুটোর মধ্যে স্পার্টা ছিল সামরিক নগররাষ্ট্র।
>এথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে সংগঠিত লোমহর্ষক যুদ্ধের নাম ছিলো পেলোপনেসিয়ার যুদ্ধ।
>এ যুদ্ধে পতন ঘটে এথেন্দের।
>নগররাষ্ট্র এথেন্স এ সূচিত হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম গণতন্ত্র।
>তাই গ্রিসকে বলা হয় “গণতন্ত্রের সৃতিকাগার'।
এথেন্সের গোত্রপ্রধানদের নিয়ে গঠিত সংসদকে বলা হত “এরিওপেগাস'।
১০. ইতিহাস বিখ্যাত ট্রয় নগরী কোথায়? [৪৫তম ও ১১তম বিসিএস ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (কর্ণফুলী),১২]
উত্তরঃ তুরস্কে।
ব্যাখ্যাঃ
>ইতিহাস বিখ্যাত ট্রয় নগরী তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কানাক্কাল প্রদেশের সমুদ্র সৈকতের নিকটে দার্দানেলিস প্রণালির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
>ট্রয় নগরীর রাজপুত্র প্যারিস, স্পার্টার রাজা মেনেলাউসের স্ত্রী হেলেনকে পালিয়ে নিয়ে আসলে ট্রয় যুদ্ধ শুরু হয়। খ্রিস্টপূর্ব ১১৯৪-১১৮৪ সালে সংঘটিত ট্রয়ের যুদ্ধে এই নগরী ধ্বংস হয়।
>ট্রয় নগরী ইউনেস্কোর বিশ্ব এতিহ্যবাহী স্থান।
১১. ইতিহাসের জনক বা পিতা কে? [প্রাক-প্রাথমিক স. শি. নি. প.- ২০১৫(৩)]
উত্তরঃ হেরোডোটাস।
গ্রিক সভ্যতার সৃষ্টিকর্মঃ
(১) ইতিহাসঃ গ্রিক সভ্যতার হেরোডোটাস প্রথম তাঁর "Histories" গ্রন্থে History শব্দের ব্যবহার করেন। এজন্য তাকে ইতিহাসের জনক বলা হয়।
(২) দর্শনশাস্ত্রঃ সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বিশ্ব সভ্যতায় গ্রিকদের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল দর্শন চচায়। দার্শনিক সক্রেটিস ছিলেন এ সভ্যতার শ্রেষ্ঠ দার্শনিক । তিনি যুক্তিবাদী দর্শন প্রবর্তন করেন। সক্রেটিসকে হেমলক বিষ পানে হত্যা করা হয়। Republic গ্রন্থের লেখক প্লেটো ছিলেন সক্রেটিসের শিষ্য। প্লেটোর ছাত্র ছিলেন এরিস্টটল। এরিস্টটল The politics, The Ethics, The logic গ্রন্থের লেখক। এরিস্টটল প্রতিষ্ঠা করেন লাইসিয়াম। তিনি ছিলেন গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের শিক্ষক। থ্যালেস ছিলেন গ্রিক সভ্যতার বিখ্যাত দার্শনিক।
(৩) বিজ্ঞানঃ বিখ্যাত গণিতবিদ পিথাগোরাস ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী হিপোক্রিটাস ঐ সময়ের গ্রিসের বিজ্ঞানী।
খেলাধুলাঃ গ্রিসে প্রাচীন অলিম্পিক শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৭৭৬ অব্দে।
(৪) সাহিত্য ও সংস্কৃতিঃ মহাকবি হোমার রচনা করেছেন 'ইলিয়ড' ও 'ওডিসি' নামক দুটি মহাকাব্য। গ্রিক পুরাণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতি অংশ ট্রয় যুদ্ধের অবলম্বনে রচিত। গ্রিক কবি হোমারের ইলিয়াড মহাকাব্য থেকে ইজিয়ান সভ্যতার তথ্য পাওয়া যায়।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
>ইউরোপ মহাদেশের গ্রিস অঞ্চলটিতেই ইউরোপের >ইতিহাস প্রথম সভ্যতার উন্মেষ ঘটে।
>গ্রিক সভ্যতা দুই ভাগে বিভক্ত। যথা ক্রিট দ্বীপের মিনোয়ান সভ্যতা (৩০০০-১৪০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত) ও গ্রিসের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ অঞ্চলের ইজিয়ান সভ্যতা (১৬০০- ১১০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত)।
>রোমানরা হেলাস দেশকে গ্রিক নামে রূপান্তরিত করে।
>গ্রিসের লোকেরা অতীতে নিজেদেরকে হেলেনিক বলত।
>তাদের সংস্কৃতিকে হেলেনিক আখ্যায়িত করা হয়। >আর হেলেনিস্টিক সংস্কৃতির জন্ম হয় মিশরের আলেকজান্দ্রিয়াকে কেন্দ্র করে গ্রিক সভ্যতার সাথে অন্য সংস্কৃতির মিশ্রণে।
মিনোয়ান সভ্যতাঃ
>আর্থার ইভান্স ১৮৯৯ সালে ক্রিট সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ খোঁড়াখুড়ি করে আবিষ্কার করেন এ সত্যতা।
>খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজধানী 'ক্লসস'।
>এ নগরী খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ অব্দে আগুনে পুড়ে যায়।
ইজিয়ান সভ্যতাঃ
>এই সত্যতাটি ইউরোপের ইজিয়ান সাগরের নিকটবর্তী দ্বীপকে কেন্দ্র করে এ সভ্যতার গোড়াপত্তন ঘটে।
>এ সময়ে লিখন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয় এবং রঙিন দেয়ালচিত্র ও মৃৎশিল্পের সন্ধান পাওয়া যায়।
রোমান সভ্যতাঃ
১২. “জুলিয়াস সিজার' কেন বিখ্যাত? [৩২তম বিসিএস]
উত্তরঃ রোমান সম্রাট হিসেবে।
ব্যাখ্যাঃ ইতালির রোমকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দে ইতালির টাইবার নদীর দক্ষিণ তীরে প্রাচীন যুগে বিখ্যাত রোমান সভ্যতার সূত্রপাত হয়। সাতটি পর্বতের মধ্যবর্তী সমতল ভূমি নিয়ে রোম নগরী গঠিত হয়। তাই রোম নগরী পরিচিত সাত পাহাড়ের নগরী হিসেবে। এটি ছিল নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। জুলিয়াস সিজার ছিলেন রোমের সম্রাট। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে রোমের সম্রাট
হন। তিনি রোমে একনায়কতন্ত্র প্রচলন করেন। জুলিয়াস সিজার সহজে ব্রিটেন দখল করে বলেছিলেন, "এলাম, দেখলাম ও জয় করলাম"।
১৩. বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল কোন নগরী? [৩৯তম বিসিএস]
উত্তরঃ কনস্ট্যান্টিনোপল।
ব্যাখ্যাঃ রোমান সম্রাট প্রথম কনস্ট্যান্টাইন ছিলেন প্রথম বাইজেন্টাইন সম্রাট । তিনিই ৩৩০ খ্রিস্টাব্দে রোম থেকে তার রাজধানী বাইজেন্টাইনে সরিয়ে আনেন এবং এ শহরকে কনস্ট্যান্টিনোপল নামে পুনর্গঠিত করেন। সম্রাট কনস্ট্যান্টাইন খ্রিস্ট ধর্মের বিস্তার
ঘটান। ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে জার্মানিদের নিকট রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটলেও এর পূর্বাঞ্চল বাইজেন্টাইন নামে অক্ষত থেকে যায়। কনস্ট্যান্টিনোপল কেন্দ্র করে ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য বজায় ছিল। তুর্কি সুলতান দ্বিতীয় মেহমুদের নিকট কনস্ট্যান্টিনোপলের পতন ঘটে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
>কিংবদন্তি ল্যাটিন রাজা রোমিউলাস এই নগরীর পত্তন করেন তাই তাঁর নামানুসারে তিনি নগরটির নামকরণ করেন রোম।
>অগাস্টাস সিজারের শাসনামলে যিশু খ্রিস্ট জন্মঘহণ করেন।
>রোমানদের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব আইনের ক্ষেত্রে।
>১২টি ব্রোঞ্জের পাতে রোমান আইন সংকলন করেন।
>সর্বপ্রথম রোমান আইন সংকলন করেন সম্রাট জাস্টিনিয়ান।
মায়া সভ্যতাঃ
১৪. মায়া সভ্যতাটি আবিষ্কৃত হয়- [৪৩ তম বিসিএস]
উত্তরঃ মধ্য আমেরিকায়।
১৫. মায়া সভ্যতা বিশ্বের কোন অঞ্চলে বিরাজমান ছিল? [৩৯তম বিসিএস]
উত্তরঃ মধ্য আমেরিকা।
ব্যাখ্যাঃ
>খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দে মধ্য আমেরিকার বর্তমান বেলিজে মায়া সভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া যায়। মধ্য আমেরিকার মেক্সিকো, গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস, এল সালভাদরের ১০০০ কিলোমিটার জুড়ে ছিল মায়া সভ্যতা।
>জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, সৌর ক্যালেন্ডার প্রণয়ন, পাথরের মন্দির নির্মাণ এ সভ্যতার নিদর্শন।
ইনকা সভ্যতাঃ
১৬. ইনকা সভ্যতা কোন অঞ্চলে বিরাজমান ছিল? [৪০তম ও ৪১তম বিসিএস]
উত্তরঃ দক্ষিণ আমেরিকা।
ব্যাখ্যাঃ
>পেরুর দক্ষিণাঞ্চলে (দক্ষিণ আমেরিকা) এ সভ্যতার বিকাশ ঘটে।
>এ সভ্যতার সম্রাটগণ তাদের বসবাসের জন্য মাচু-পিছু নগরী তৈরি করেন।
>এটিকে সবচেয়ে আধুনিক সভ্যতা বিবেচনা করা হয়।
>ইনকা সভ্যতার সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার জলের সাহায্যে সেচ পদ্ধতি।
>ইনকা সভ্যতার সরকারি নাম ক্যাচুয়া।
>দক্ষিণ আমেরিকায় গড়ে ওঠা ইনকা সভ্যতার স্থপতি ছিলেন মানকো কাপেন।
সিন্ধু সভ্যতাঃ
১৭. সিন্ধু সভ্যতা কোন যুগের?
উত্তরঃ তাম্র।
ব্যাখ্যাঃ
>সিন্ধু সভ্যতা ছিল তাম্র/ব্রোঞ্জ যুগীয় সভ্যতা (৩৫০০ ধ্রিস্টপূর্বান্দ)।
>বর্তমান পাকিস্তানের উত্তর-পূর্ব থেকে প্রবাহিত হয়েছে বিশাল সিন্ধু নদ যা দক্ষিণে আরব সাগরে পতিত হয়েছে।
১৮. মহেঞ্জোদারোতে পাওয়া গেছে কোনটি? [প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক-১৮ (৩য় পর্যায়-১)-২০১৯]
উত্তরঃ গোসলখানা
ব্যাখ্যাঃ
>সিন্ধু নদের উত্তর-পূর্ব পাঞ্জাবে ছিল হরপ্পা নগরীর অবস্থান।
>আর দক্ষিণে লারকানা জেলায় সিন্ধু নদীর উপনদী “রাভীর' তীরে গড়ে ওঠে মহেঞ্জোদারো (অর্থ- মৃতের টিবি) নগরী।
>এ সভ্যতা গড়ে ওঠে পাকিন্তানের বিশাল সিন্ধু নদের তীরে হরপ্লা ও মহেঞ্জোদারো এবং আরো ছোটবড় একশত শহর ও গ্রাম নিয়ে ।
>মহেঞ্জোদারো অর্থ- মৃতের টিবি।
>এ সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করেন দ্রাবিড়গণ।
>নগরীটি গড়ে ওঠে সিন্ধুর উপনদী ইরাবতীর তীরে। >সিন্ধু সভ্যতা আবিদ্ধার করেন জন মার্শাল, দয়ারাম সাহনী এবং রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
>১৯২২ সালে প্রত্নতত্ত্ববিদরা মাটি খুঁড়ে এ সভ্যতার নিদর্শন দেখতে পান।
>মাটি খুঁড়ে খোঁজ পাওয়া প্রথম নগরীটির নাম হরপ্লা।
>সিন্ধু সভ্যতার অবদান পরিমাপন পদ্ধতি। >মহেঞ্জোদারোতে পাওয়া গেছে গোসলখানা।
১৯. বৌদ্ধ সভ্যতার জন্য বিখ্যাত তক্ষশীলা অবস্থিত- [প্রাক-প্রাথমিক স. শি. নি. প.- ২০১৩ (বুড়িগঙ্গা)]
উত্তরঃ পাকিস্তানে।
ব্যাখ্যাঃ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি জেলায় অবস্থিত বৌদ্ধ ধর্মের স্মৃতিবিজড়িত গুরুতৃপূর্ণ প্রত্নতান্তিক স্থান তক্ষশীলা অবস্থিত।
মিশরীয় সভ্যতাঃ
২০. মিশরীয় সভ্যতার চিত্রলিপিকে কি বলা হয়? [প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ২০১৯]
উত্তরঃ হায়ারোগ্রিফিক।
ব্যাখ্যাঃ
>মিশরীয় সভ্যতায় মিশরীয়রা ছবি ও সংকেতের সাহায্যে প্রচলন করেন হায়ারোগ্রিফিকস লিপি।
অর্থাৎ মিশরীয় সভ্যতার চিত্রলিপিকে বলা হয় গাছের বাকল থেকে তারা তৈরি করেন 'প্যাপিরাস' নামক কাগজ।
>সমগ্র মিশরকে একত্রিত করেন রাজা মেনেস। >মেনেসের শাসনকালে রাজধানী ছিল মেম্ফিস।
২১. ক্লিওপেট্রা কোন দেশের রাণী ছিলেন? [প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক : ৯২]
উত্তরঃ মিশর।
ব্যাখ্যাঃ
>থ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাস মিশরকে নীলনদের দান বলেছেন ।
>নীল নদের সর্প বা *সার্পেন্ট অব নাইল" বলা হয় মিশরের রাণী ক্রিওপ্ট্রাকে।
>ক্রিওপ্ট্রা ছিলেন দ্বাদশ টলেমীর কন্যা ।
>তিনি সর্পদংশনে আত্মহত্যা করেন।
২২. ১২ মাসে বছর ও ৩০ দিনে মাস এ গণনারীতি কাদের? [প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (করতোয়া): ১২]
উত্তরঃ মিশরীয়দের
ব্যাখ্যাঃ
>মিশরীয়রা পাল তোলা বড় নৌকা, ১২ মাসে বছর, ৩০ দিনে মাস, ৩৬৫ দিনে সাল গণনা, মৃৎপাত্র তৈরির যন্ত্র, ঢাল-তলোয়ার, তীর-ধনুক প্রভৃতির প্রচলন করেন।
>এ সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান দেখা যায় পিরামিড তৈরিতে।
>মিশরের সবচেয়ে বড় পিরামিড মিশরের রাজা ফারাও বা রাজা খুফুর পিরামিড।
>তবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পিরামিড The Great Pyramid of Cholula (মেক্সিকো)।
পারস্য সভ্যতাঃ
২৩. আজকের কোন দেশটি প্রাচীন কালে 'পারস্য' নামে পরিচিত ছিল? [প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (কর্ণফুলী):১২]
উত্তরঃ ইরান
ব্যাখ্যাঃ
>আজকের ইরান দেশটি প্রাচীন কালে 'পারস্য' নামে পরিচিত ছিল।
>পারস্য (বর্তমান ইরান) সভ্যতা খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অন্দে মরুভূমির উত্তরে বিস্তীর্ণ উর্বর ভূমিতে আর্যরা গড়ে তোলেন।
>এ সভ্যতার অপর নাম 'একমেনিড সভ্যতা"।
>দারিযুস ছিলেন পারস্যের বিখ্যাত সম্রাট।
>জরথুন্ত্র নামক ধার্মিক ও দার্শনিক নতুন ধর্ম জরথুস্ট্রবাদ প্রবর্তন করেন।
>খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০ অব্দে গ্রিক বীর আলেকজান্ডার পারস্য দখল করেন।
>অন্যদিকে, ইরাকের পুরাতন নাম ছিল “মেসোপটেমিয়া'।
বিভিন্ন সভ্যতা সম্পর্কে জেনে নেইঃ
মিশরীয় সভ্যতাঃ
>মিশরীয় সভ্যতার গোড়াপভন ঘটে খ্রীষ্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে নীল নদের তীরে।
>এ সভ্যতা স্থায়ী হয়েছিল ২৫০০ বছরেরও
বেশি।
>গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাস মিশরকে নীলনদের দান বলেছেন।
নীল নদের সর্প বলা হয় মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রাকে। >সমগ্র মিশরকে একত্রিত করেন রাজা মেনেস। >মেনেসের শাসনকালে রাজধানী ছিল মেম্ফিস।
>এ সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান পিরামিড তৈরি।
>মিশরের সবচেয়ে বড় পিরামিড মিশরের রাজা ফারাও বা রাজা খুফুর পিরামিড ।
>এ পিরামিডে রাজা খুফুর সমাধি অবস্থিত।
>পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পিরামিড The Great Pyramid of Cholula (মেক্সিকো)।
>মিশরীয়রা ছবি ও সংকেতের সাহায্যে প্রচলন করেন হায়ারোগ্লিফিকস লিপি।
গাছের বাকল থেকে তারা তৈরি করেন 'প্যাপিরাস' নামক কাগজ ।
চৈনিক সভ্যতাঃ
>চৈনিক সভ্যতা গড়ে ওঠে চীনের হোয়াংহো ও ইয়াংসিকিয়াং নদীর উর্বর অঞ্চলে।
>চীনের সমাজব্যবস্থা বিভক্ত ছিল চার স্তরে। যথা রাজা, বুদ্ধিজীবী, জনগণ, ক্রীতদাস।
>চার স্তরের প্রথম স্তরে ছিল রাজা।
>চীনারা তাদের রাজাকে “ঈশ্বরের পুত্র' মনে করত।
>চীনা জনগোষ্ঠী মূলত মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
>চীনারা ব্রোঞ্জের ব্যবহার জানত।
>তারা ঘোড়ায় টানা রথ ব্যবহার করত।
>ঘুড়ির উৎপর্তি প্রাচীন চীনে ।
>কনফুসিয়াস ছিলেন চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী দার্শনিক।
>কনফুসিয়াসের দর্শন ধর্মে পরিণত হয় খ্রিস্টপূর্ব ২০৬ অব্দে।
সিন্ধু সভ্যতাঃ
>সিন্ধু সত্যতা ছিল তাম্র/ ব্রোঞ্জ যুগীয় সত্যতা (৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)।
>বর্তমান পাকিস্তানের উত্তর-পূর্ব থেকে প্রবাহিত হয়েছে বিশাল সিন্ধু নদ যা দক্ষিণে আরব সাগরে পতিত হয়েছে।
>সিন্ধু নদের উত্তর-পূর্ব পাঞ্জাবে ছিল হুরপ্পা নগরীর
অবস্থান।
>আর দক্ষিণে লারকানা জেলায় সিন্ধু নদীর উপনদী 'রাভীর' তীরে গড়ে ওঠে মহেঞ্জোদারো (অর্থ- মৃতের টিবি) নগরী।
>এ সভ্যতা গড়ে ওঠে পাকিস্তানের বিশাল সিন্ধু নদের তীরে হুরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো এবং আরো ছোটবড়
একশত শহর ও গ্রাম নিয়ে।
>মহেঞ্জোদারো অর্থ- মৃতের টিবি।
>এ সত্যতা প্রতিষ্ঠা করেন দ্রাবিড়গণ।
>নগরীটি গড়ে ওঠে সিন্ধুর উপনদী ইরাবতীর তীরে।
>সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কার করেন জন মার্শাল, দয়ারাম সাহনী এবং রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
>১৯২২ সালে প্রত্নতত্ত্ববিদরা মাটি খুঁড়ে এ সত্যতার নিদর্শন দেখতে পান।
>মাটি খুঁড়ে খোঁজ পাওয়া প্রথম নগরীটির নাম হরপ্পা। >সিন্ধু সভ্যতার অবদান পরিমাপন পদ্ধতি। >মহেঞ্জোদারোতে পাওয়া গেছে গোসলখানা।
ফিনিশীয় সভ্যতাঃ
>ফিনিশীয় সভ্যতা গড়ে উঠে লেবানন ও ভূ-মধ্যসাগরের মাঝামাঝি অঞ্চলে।
>আলেকজান্ডারের হাতে ফিনিশীয়দের পতন ঘটে।
>সভ্যতার ইতিহাসে তাদের পরিচয় হলো শ্রেষ্ঠ নাবিক ও জাহাজ নির্মাতা হিসেবে।
>ফিনিশীয় নাবিকরা ধ্রুবতারা দেখে রাতে জাহাজ চালাতে পারতেন।
>এ কারণে ধ্রবতারার অপর নাম ফিনিশীয় তারা।
>এরা উদ্ভাবন করে ২২টি ব্যঞ্জনবর্ণের সমন্বয়ে ফিনিশীয় বর্ণমালা। আধুনিক বর্ণমালার সূচনা এখান থেকেই।
>২০০৫ সালে ইউনেস্কো ফিনিশীয় ভাষাকে "International Documentary Heritage" হিসেবে "Memory of the World Register" এ নিবন্ধিত করে।
পারস্য সভ্যতাঃ
>পারস্য (বর্তমান ইরান) সভ্যতা খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অন্দে মরুভূমির উত্তরে বিস্তীর্ণ উর্বর ভূমিতে আর্যরা গড়ে তোলেন।
>এ সভ্যতার অপর নাম "একমেনিভ সভ্যতা"।
>দারিযুস ছিলেন পারস্যের বিখ্যাত সম্রাট।
>জরথুস্ত্র নামক ধার্মিক ও দার্শনিক নতুন ধর্ম
জরধস্ট্রবাদ প্রবর্তন করেন।
>খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০ অব্দে গ্রিক বীর আলেকজান্ডার পারস্য দখল করেন।
হিব্রু সভ্যতাঃ
>প্যালেস্টাইনের জেরুজালেম নগরীকে কেন্দ্র করে হিব্রু সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল।
>হিব্রু মূলত একটি সেমেটিক ভাষার নাম, এটি কোন জাতির নাম নয়।
>বর্তমান ইসরাইলের অধিবাসীরা হচ্ছে হিব্রুদের বংশধর।
>জেরিকো শহরটি ইসরাইলে অবস্থিত।
>এখানে নগর সভ্যতার পত্তন হয়েছিল।
>হিবুদের প্রধান অবদান ধর্মের ক্ষেত্রে।
নারা সভ্যতাঃ
>খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে জাপানে এ সভ্যতা দেখা দেয়।
>বৌদ্ধদের প্রভাবিত বৌদ্ধ সংস্কৃতির উৎকর্ষ ছিল এ সভ্যতার প্রধান বিষয়।
>এ সময় বৌদ্ধ সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধিত হয় এবং প্যাগোডা নির্মিত হয়।
No comments